
সুফি সাধক আল্লামা জামি (রহঃ) এর একটি কালামের ভাবার্থ
অনুবাদঃ
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী
তেরে ইশকে মে হ্যায় মেরা আব ইয়ে আলম।
তোমার প্রেমে আমার সমস্ত সত্তা বিলীন হয়ে আছে।
কাভি জাবালাব হু কাভি শেকলে মাতম।
কখনো আমি সৃষ্টির সৌন্দর্যে বিভোর থাকি, কখনো আমি বিচ্ছেদ কান্নায় বিবর্ণ হয়ে যাই।
ইয়ে কাহ্কে কার কারু ম্যায় তেরা খায়রে মাকদাম।
এটা আমি কিভাবে বলব যে, আমি তোমার ভালোবাসায় ফিরে আসব?
বানোকে সিনানাতে জিগার মি ফারোশাম।
যুগের আবর্তনে আমি তোমাকে কিভাবে ধারণ করব?
বা তেগে আদায়ে তো সারমি ফারোশাম।
আমার মাথার উপর তো উলঙ্গ তলোয়ার রয়েছে, আমি তোমাকে কিভাবে ধারণ করব?
ব শাওকাতে জা বালাব আমদ তামামী।
সৃষ্টির সৌন্দর্যের গতিময়তা নিয়েই আমি আমার শেষ পরিণতিতেও তোমার নিকট ফিরে আসি।
ফা কুমকুম ইয়া হাবিবী কাম তানামী।
সুতরাং হে রাজার রাজা বন্ধু আমার, আর কতকাল ঘুমাবে?
হামা পায়গামবারো দার জুসতো জোয়াম।
আমার সুসংবাদদাতা কে আমি আর কতকাল খুঁজবো?
খোদা দানাদ্ কে দো বারচে মাকামী।
খোদাই ভালো জানেন যে, আমার অবস্থান টি কোথায় হবে?
হামা বার সারে জামা বাতানকো।
আমার দেহের পোশাকটি কি আমার মর্যাদা অনুপাতে হবে না?
ফাকাদ সারওয়ে বা রুখ মাহে তামামী।
সুতরাং শেষ পরিণতিতে আমার মর্যাদাপূর্ণ চন্দ্রমুখটির
কি হবে?
উমিদে খাল্লাতে শাহী না দারাম।
শাহী দরবারে বন্ধুত্ব ছাড়া প্রবেশের অনুমতি আশা করা যায় না।
বা সারকারে সেদো গাহে গোলামী।
পীরের দরবারে ফকিরিই একমাত্র গোলামী।
বা হুসনে এহ্তামামাদ্ ইয়ারে জামি।
হে জামি, তুমিতো পীরের সৌন্দর্যের মাঝেই অভিভূত হয়ে আছ।
তোফায়েলে দীদ জারা ইয়াবদ্ তামামী।
আমার শেষ পরিণতিতে আমার প্রতি একটু দয়া দৃষ্টিতে দেখিও।